মানুষের হিংসার শিকার হয়ে গেলো আমার আরো এক পুরোনো বন্ধু চিরতরে চলে গেলো আমার বাড়ির হিরো, এসেছিলো ২০১৫ তে আর চলে গেলো ২০১৯ এ - বাড়ির বিড়াল। জন্মের পরে একদম ২-৫ দিনের বাচ্চা কেউ ছেড়ে দিয়ে গিয়ে ছিলো, তার পর থেকেই বাড়িতে ছিল, দাদা যখন ছিলো তখন দাদার কোলে এবং আমার কোলে বসতো ও ঘুমাতো বিড়ালটা, কিন্তু যখন তখন বাইরে চলে যেত, আর কেউ না কেউ পা তে মেরে পা খোঁড়া করে দিতো, রক্তাক্ত করে দিতো বিভিন্ন জায়গায়, চিকিৎসা করার যথা শ্রাদ্ধ চেষ্টা করা হতো বিভিন্ন ভাবে, কিন্তু এবার আর বাঁচাতে পারলাম না। গত ৪ দিন বাড়ি আসেনি, এর আগেও এরকম অনেকবার হয়েছে এরকম আসেনি কোথাও ঘুরছে, যথা সম্ভব খোঁজ করা হয়েছে কিন্তু হদিশ মেলেনি, আর আজ '৬ই জুলাই ২০১৯ শনিবার' আমাদের এলাকার ভাগাড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেলো কেউ মেরে ফেলে দিয়েছে - বিড়ালটাকে।
গত বছর ২০১৮ তে কুকুরটাকে মেরে দিয়েছিলো মোটর সাইকেল চাপা দিয়ে। পর পর একের পর এক আমার বন্ধুরা কোনো না কোনো দিক দিয়ে আমাকে ছেড়ে চির বিদায় করে চলে যাচ্ছে। দাদা ২০১৬ তে, কুকুরটা ২০১৮ তে, বিড়াল ২০১৯ এ।
মানুষ ভিড়ের শিকারে মানুষকেতো দিনের পর দিন মারছে, নিরীহ প্রানী, মুখ ফোটে না তাদেরকেও মেরে দিচ্ছে হিংসায়। হয়তো এই হিংসার মানুষের ভিড়ই কোনো দিন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রান নেবে আমারও। আমরা নিজেরাই ভুলে যাচ্ছি আমাদের পরিচয় যে আমরা 'মানুষ'। যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখতে হবে এবং দেখতে পাবো আরো কত দূর্দশা আমাদেরই।
আমার বিনীত অনুরোধ - যদি কুকুর, বিড়াল, ইত্যাদি প্রানীকে ক্ষমতা অনুযায়ী খেতে না দিতে পারো, ভালোবাসতে না পারো, থাকতে না দিতে পারো - কিন্তু অত্যাচার করো না, তারাও বাঁচতে চায়।
গত বছর ২০১৮ তে কুকুরটাকে মেরে দিয়েছিলো মোটর সাইকেল চাপা দিয়ে। পর পর একের পর এক আমার বন্ধুরা কোনো না কোনো দিক দিয়ে আমাকে ছেড়ে চির বিদায় করে চলে যাচ্ছে। দাদা ২০১৬ তে, কুকুরটা ২০১৮ তে, বিড়াল ২০১৯ এ।
মানুষ ভিড়ের শিকারে মানুষকেতো দিনের পর দিন মারছে, নিরীহ প্রানী, মুখ ফোটে না তাদেরকেও মেরে দিচ্ছে হিংসায়। হয়তো এই হিংসার মানুষের ভিড়ই কোনো দিন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রান নেবে আমারও। আমরা নিজেরাই ভুলে যাচ্ছি আমাদের পরিচয় যে আমরা 'মানুষ'। যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখতে হবে এবং দেখতে পাবো আরো কত দূর্দশা আমাদেরই।
আমার বিনীত অনুরোধ - যদি কুকুর, বিড়াল, ইত্যাদি প্রানীকে ক্ষমতা অনুযায়ী খেতে না দিতে পারো, ভালোবাসতে না পারো, থাকতে না দিতে পারো - কিন্তু অত্যাচার করো না, তারাও বাঁচতে চায়।