Say No to Bribe at Any Conditions - Include Police & Govt Servants. Complaint to the concern authority immediately. যেকোনো শর্তে ঘুষকে না বলুন
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যারা নানান ধরনের সমস্যায় পড়ে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছেন বা কোথায় কিভাবে নানান ধরনের ফ্রড, হ্যাকিং, থ্রেট, মোবাইল চুরি, ইত্যাদির অভিযোগ করা যাবে এবং লিগ্যাল ফরমেটে সমাধান সম্ভব হবে তা জানতে আসতো এবং এখনো আসে, এখন বেশ কয়েক মাস এবং রিসেন্ট বেশীরভাগই আসছে লিগ্যাল সিস্টেমে যারা আছে তাদের করাপসনের বিরুদ্ধে কিভাবে অভিযোগ জানানো যাবে এবং কিভাবে সমাধান পাওয়া যাবে তা জানতে।
সাধারণ মানুষ বেশিরভাগই পুলিশ স্টেশনে যেতে ভয় পাচ্ছে, কিন্তু কেন তার জবাব কে দেবে! আবার গেলেই নাকি অনেকক্ষেত্রে টাকা (ঘুষ) চাইছে নানান কাজের জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ করতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভুল ভাল বুঝিয়ে ভয় দেখিয়ে দিচ্ছে নানান ভাবে। কালপিটরা আরও সাহস পেয়ে যাচ্ছে আমাদের মহান কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকদের জন্য।
প্রতিদিন আমাদের রাজ্যে হাজারে হাজারে কোরোপসেনের ঘটনা ঘটছে কিন্তু সামনে আসছে না ৫০%, সাম্প্রতিক রিসার্চ অনুযায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বেশি মাত্রায় সক্রিয় আছে কোরাপশনে, আবার বহু ক্ষেত্রে মানুষ নিজেকে অসহায় মনে করে এগিয়ে আসছে না। সবথেকে বেশি পপুলার - সাধারণ পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের জন্য বিভিন্ন থানায় ৫০০/- টাকার চার্জ (গুষ) নির্ধারিত আছে, আবার পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ৫০০/- থেকে ২০০০/- টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় চার্জ (গুষ) নির্ধারিত আছে, এক্ষেত্রে আবার অনেকেই ভয় দেখিয়ে বলে টাকা না দিলে ভুল ভাল কেশ দিয়ে দেবে ইত্যাদি, স্টেশন ফি, মিষ্টি খাওয়ার টাকা। এই দুটি ক্ষেত্রেই যে বা যারা প্রতিবাদ করতে সক্ষম কিছু ক্ষেত্রে তারাই এই চার্জ (গুষ দেওয়া) থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারে। আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে অভিজ্ঞতা করেছি আমার রিসার্চের সময়, কোনোরকম হাওয়া তে বলা তথ্য দেওয়া নয়, সম্পূর্ণ ফ্যাক্ট বেস্ড, রিসার্চড তথ্য যাচাই করেই আমার ফিডব্যাক থাকলো - জনস্বার্থে।
প্রয়োজনে যখন কোনো কারনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন বা থানাতে যাবেন অবশ্যই রেকর্ডিং অন রাখুন এবং সম্ভব হলে সঙ্গে একজন ভারতীয় নাগরিক কে রাখুন আই-উইটনেস (প্রত্যক্ষদর্শী) এর জন্য।
- নিজে থেকে একে একে প্রতিবাদ অবশ্যই করুন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে।
- শিরদাঁড়া আছে কিনা মাথায় রেখে কাজ করুন।
- আপনার নেওয়া পদক্ষেপ অনেকের জীবনে প্রভাব রাখবে।
সাধারন মানুষ ভুগছে, কিন্তু প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে কি করছে সাধারন মানুষের জন্য তা সামান্য সমীক্ষা থেকে জানা যায়।
- সাধারন মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের কাছে বা পুলিশ স্টেশন যাওয়ার কথা বললে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আতঙ্কে থাকছে।
- আর যারা বিভিন্ন ভাবে থ্রেট করছে, ঘুষ চাইছে, মোবাইল চুরি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত তারা ভয়ে থাকছে না, তারা আবার বলছে প্রশাসন কি আর করবে, খুব জোর ধরবে ফটো তুলবে পাবলিসিটি করে টাকা নিয়ে আবার ছেড়ে দেবে।।
- কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি দিনে দিনে বাড়ছে। কেন ক্রিমিন্যাল দের হিম্মত প্রশাসন দুর্বল করতে পারছে না। কেন সাধারন মানুষ এখন ও ভয়ে ভয়ে থাকছে।
আমার বক্তব্য / ফিডব্যাক -
একটা বড়ো রিফর্মেশনের প্রয়োজন আছে এই ধরনের পরিবেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য।
এর জন্য দরকার আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা ভিত্তিক লোকাল পুলিশ স্টেশন অনুযায়ী নূন্যতম ৮ জন লোকাল ভলেন্টিয়ার, এর মধ্যে ৫০% পুরুষ এবং ৫০% মহিলা ভলেন্টিয়ার বাধ্যতামূলক। ফ্রি-ল্যান্সার এডভোকেট যথেষ্ট পরিমানে প্রয়োজন।
প্রত্যেকটি লোকাল পুলিশ স্টেশনে নূন্যতম চার ধরনের কাজ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সাধারন মানুষের কাজের অভিজ্ঞতা দেখা প্রয়োজন।
একজন পুরুষ সঙ্গে একজন মহিলা এক একটি কাজ নিয়ে যাওয়া এবং একজনের কাজের জন্য অপরজন উইটনেস হয়ে সঙ্গে যাবেন।
- মোবাইল চুরির অভিযোগ নিয়ে কি অভিজ্ঞতা হয় তা সম্পূর্ণ প্রমান রেখে, অভিযোগ পত্রের রিসিপ্ট নেওয়া।
- যেকোনো সাধারণ ইন্সিডেন্ট সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে কি অভিজ্ঞতা হয় তা সম্পূর্ণ প্রমান রেখে অভিযোগ পত্রের রিসিপ্ট নেওয়া।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সাধারণ কোনো কাজের জন্য নিয়ে কি অভিজ্ঞতা হয় তা সম্পূর্ণ প্রমান রেখে ক্লিয়ারেন্স এর রিসিপ্ট নেওয়া।
- পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে কি অভিজ্ঞতা হয় তা সম্পূর্ণ প্রমান রাখা।
এবং সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে - সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে কি অভিজ্ঞতা হয় তা সম্পূর্ণ প্রমান রেখে অভিযোগ পত্রের রিসিপ্ট নেওয়া।
ভলেন্টিয়ারদের চেক লিস্ট -
- ভলেন্টিয়াদের অবশ্যই শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন।
- প্রত্যেক ভলেন্টিয়ারদের মধ্যে ডিসিপ্লিন, গার্টস, সততা, উদ্দেশ্য নিশ্চিত এবং জুনুন থাকা বাধ্যতামূলক।
- প্রত্যেক ভলেন্টিয়ারদের যেনো কোনোরকম ক্রিমিন্যাল রেকর্ড না থাকে।
- সেল্ফ ডিফেন্স, স্পাই ক্যামেরা এবং মাইক অপারেন্টিং।
- কিভাবে কোথায় কথা বলতে হবে।
- কিভাবে কথা বের করতে হবে।
- কিভাবে ব্যাবহার আচার আচরণ রাখতে হবে পরিস্থিতি অনুযায়ী।
- এবং বিশেষভাবে নূন্যতম কিছু প্রয়োজনীয় আইন-কানুন ('ল') সম্পর্কে তথ্য নিশ্চিত ভাবে মনে রাখতে হবে।
সম্পূর্ণ রাজ্যে একদিনে একই তারিখে একসাথে সমস্ত পুলিশ স্টেশনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টার মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করতে হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ -
- লোকাল এরিয়া অনুযায়ী লোয়ার কোর্টে আগামী দিনের মধ্যেই প্রত্যেকটি ব্রাইব, কোরাপসনের প্রমান, উইটনেস নিয়ে ফ্রি-ল্যান্সার এডভোকেটের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা এবং কোর্টের দ্বারা এই সমস্ত কোরাপশনের কেশ রেজিস্টার করা।
- সমস্ত অভিযোগ সঙ্গে অভিযোগ কারিদের স্টেটমেন্ট প্রমান ফুটেজ ইত্যাদি ডকুমেন্ট সমস্ত একসাথে পুলিশ স্টেশন অনুযায়ী 'এস পি', 'ডি আই জি' এবং ('দুর্নীতি দমন ব্যুরো') 'এন্টি কোরাপসন ব্যুরো', সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে জমা দেওয়া একই সাথে সমস্ত তথ্য।
যদি এতো বড়ো প্রসেশে সম্ভব না হয় তাহলে ছোটো ছোটো ক্ষেত্রে ও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন পদ্ধতি একই রেখে। এখানে পুরুষ এবং মহিলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কারন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য।
ফলাফল -
- সারা বিশ্বের কাছে একটা স্মরণীয় এবং উদাহরণ স্বরূপ ইতিহাস হয়ে থাকবে কোরাপসনের বিরুদ্ধে লড়াই কিভাবে সম্ভব আন্দোলন না করে, পাবলিক প্রপার্টি না ক্ষতি করে, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গ ছাড়াই সভ্য সমাজে ব্রাইব ফ্রী পরিবেশ তৈরী করা যায় - একতা, ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে।
- দ্বিতীয়বার কোনো স্থানে কেউ কোনো কারনে যদি ব্রাইব চায় তখন যদি এই ষ্ট্রিং অপারেশনের কথা মনে পড়ে সেই ব্যাক্তি কিছু সময়ের জন্য হলেও ভাবতে বাধ্য হবে।
এই পদ্ধতি কিন্তু পার্মানেন্ট সমাধান নয়, সর্বদাই সচেতন থাকতে হবে এবং লড়াই করতে হবে, না হলে কেউ না কেউ কোরাপসন চালিয়ে যাবেই। তাই ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া দুটি তেই না বলতে চেষ্টা করুন, শুধুমাত্র আপনার জন্য নয় অন্যান্যদের জন্যও একটা উদাহরণ থাকবে।
একই পদ্ধতিতে সরকারি দফতরের বিভিন্ন কোরাপসনকে মুক্ত করতে পারেন সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে।
প্রশাসনিক করনীয় -
শুধুমাত্র ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন, জন সচেতনতা যথেষ্ট নয়, প্রত্যেকটি পুলিশ স্টেশনে প্রবেশের আগে অর্থাৎ বাইরে বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ন তথ্য বড়ো করে ডিসপ্লে বোর্ডে জেন দেওয়া থাকে ইংরেজী এবং বাংলা অর্থাৎ লোকাল ভাষাতে -
- লোকাল ওই থানার ভারপ্রাপ্ত সমস্ত অফিসারদের যোগাযোগের নম্বর এবং ইমেল আইডি।
- ওই থানার এরিয়া অনুযায়ী 'এস ডি পি ও', 'ডি ওয়াই এস পি', 'এস পি', 'ডি আই জি', ('দুর্নীতি দমন ব্যুরো') 'এন্টি কোরাপসন ব্যুরো', 'সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন' এই সমস্ত দফতরের অফিসারদের যোগাযোগের নম্বর এবং ইমেল আইডি।
- এই সমস্ত প্রশাসনিক দফতরের ইমেল আইডি যেন 'ডট গভ ডট ইন' অথবা 'ডট এন আই সি ডট ইন' ডোমেনে থাকে, জিমেল বা অন্যান্য ডোমেন ছাড়া।
- এই সমস্ত প্রশাসনিক দফতরের ভারপ্রাপ্ত সমস্ত অফিসারদের যোগাযোগের নম্বর এবং ইমেল আইডি যেন পার্মানেন্ট থাকে অর্থাৎ অফিসার পরিবর্তন হলেও যেন ওই সমস্ত ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত অফিসারদের যোগাযোগের তথ্য একই থাকে।
- ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া থেকে দূরে থাকুন এবং এটি আইনত অপরাধ ইত্যাদি তথ্য দিয়ে যেন জন সচেতনতার বড়ো ডিসপ্লে বোর্ড দেওয়া থাকে পুলিশ স্টেশনের সামনে এবং নানান মার্কেটে ও বিভিন্ন পাবলিক স্থানে।
- যেকোনো ধরনের কোরাপসনের অভিযোগের বিরুদ্ধে কুইক রেস্পন্স হওয়া বাধ্যতামূলক।
- যেকোনো ধরনের চুরি, ছিন্তাই অভিযোগকে যেন হারিয়ে যাওয়া বলে অভিযোগ না করানো হয়।
- যতো ছোটো ই হোক না কেন অনলাইন থ্রেট, হ্যাকিং, ইত্যাদি অভিযোগকে যেন গুরুত্বদিয়ে নেওয়া হয়। একটা সামান্য সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট কম্প্রোমাইজ হয়েছে বলে তাদেরকে ওই একাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে চুপ চাপ থাকতে না বলা হয়, সঠিকভাবে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে কালপিটদের আইনতভাবে সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়।
- যেকোনো সাধারন কাজের জন্য পুলিশ স্টেশন থেকে 'এন ও সি' নেওয়ার প্রসেশ যেনো কন্টাক্টলেস হয়। অনলাইন আবেদন করার পদ্ধতি। যেমন - ইনকাম সার্টিফিকেট, ডোমিসাইল (রেসিডেন্ট) সার্টিফিকেট ইত্যাদি অনলাইন আবেদন হয়, ঠিক সেভাবেই।
- পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন যেন সম্পূর্ণ স্পষ্ট প্রক্রিয়াতে হয়। পুলিশ যেন কোনো রকম সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা না নিতে পারে। পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের কথা মাথায় এলে যেন কোনো রকম ঘুষের কথা না আসে এমন ভাবেই প্রক্রিয়াকে স্পষ্ট করতে হবে।
পুলিশের কাজ সমাজের যথেষ্ট সম্মানজনক পেশা এবং এটি সার্ভিস দেওয়ার জন্য, তা কিছু আধিকারিকদের জন্য স্পষ্ট নয় বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের কাছে। আমরা এক একটা পীড়ি কে এই আধুনিক সময়ে যা কিছুর সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছি সেটাই অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ যেনো নিজেকে সুরক্ষিত মনে করেন পুলিশের কথা শুনলে বা পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার সময়, এই ধরনের পরিবেশের প্রয়োজন।