বহু সো-কল্ড জ্ঞানী গুণীদের বেশ লাফালাফি চলছে আজকাল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট নিয়ে। এরা বিভিন্ন ভাবে বার বার বলার চেষ্টা করছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নিজেদের ফায়দার জন্য করেছে, কোনো সমাজ সেবা বা স্ক্যাম এক্সপোজ করার জন্য নয়। এদের বিশাল টাকার কামাই হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানে আমার (পার্থপ্রতিম দাশ) কিছু বক্তব্য আছে -
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কিভাবে কাজ করে তার সম্পূর্ণ তথ্য হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ট্রান্সপারেন্ট রেখেছে এবং উল্লেখ করে দিয়েছে তারা কিভাবে রোজকার করে। তারাতো খুব সহজেই এড়িয়ে যেতে পারতো কিভাবে তাদের ফায়দা হয় কিন্তু তারা পাবলিক রেখেছে তথ্য এবং এই পদ্ধতি আনএথিক্যাল নয় আইন* অনুযায়ী।
- যদি এই ধরনের কোনো ইনভেস্টিগেশন সরকারি কোনো এজেন্সী করতো তখন কি বলতো? তারাওতো যে কাজ করে তার সেলারী থাকে বা পায়, সেলারি ছাড়া তারাও কি কাজ করে?
- যদি এই ধরনের কোনো ইনভেস্টিগেশন কোনো নিউজ এজেন্সি বা জার্নালিস্ট করতো তখন কি বলতো? তারাওতো যে কাজ করে তার সেলারী থাকে বা পায়, সেলারি ছাড়া তারাও কি কাজ করে?
ফ্রড দেরকে এক্সপোজ করেও ট্রান্সপেরেন্ট ভাবেও টাকা কামানো যায় সেটা দেখালো হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ।
এতোই লাফালাফি চলছে, তাহলে এই সময় তো তাবা গরম আছে, সব যে যার ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এবং বিভিন্ন ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সির ইনভেস্টিগেশন শুরু হোক হাজার হাজার ধরনের বিজনেস ফ্রড এখনো দেশে আছে ছোট থেকে বড়ো সবধরনের।
- একের পর এক মার্কেটে আইপিও র টাকা উড়ছে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা উড়ছে, সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এবং বিভিন্ন ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সির ইনভেস্টিগেশন শুরু হোক।
- ছোট থেকে বড়ো সবধরনের ব্যাবসাতে/কোম্পানীতে "জি এস টি" ফ্রড সামনে আসছে সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এবং বিভিন্ন ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সির ইনভেস্টিগেশন শুরু হোক।
- একের পর এক বড়ো বড়ো হস্তির "এন পি এ" এবং লোন রাইটঅফ হচ্ছে সামনে আসছে সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম শুরু হোক।
- সিস্টেমের মধ্যে করাপশন অনেক ধরনের আছে, কিছু কিছু সামনে আসছে সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এবং বিভিন্ন ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সির ইনভেস্টিগেশন শুরু হোক।
- প্রত্যেক রাজনেতা, নেত্রীর যত ধরনের ডার্ক সাইড, স্ক্যাম, করাপশন ধামা চাপা হয়ে আছে বা সামনে আছে সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম শুরু হোক, একদম গ্রাউন্ট লেভেল থেকে উচ্চ স্তরের ডাইনোসর পর্যন্ত, কেউ যেন একটাও এদিক ওদিক দিয়ে বাদ না যায়।
- ওভার ভ্যালুয়েশন নিয়ে অনেক কোম্পানীর তথ্য সামনে আসছে সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এবং বিভিন্ন ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সির ইনভেস্টিগেশন শুরু হোক।
- কিভাবে ছোট ছোট ব্যাবসা গুলো মরছে, বিভিন্ন ধরনের তথ্য সামনে আসছে সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম শুরু হোক।
এদের বক্তব্য শুনে আমার (পার্থপ্রতিম দাশ) নিজের জীবন কাহিনীর কথা মনে আসছে বার বার।
যখন ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমার ৫ বছরের রিসার্চ চলছিলো বিভিন্ন প্রজেক্টে, তখন আমি নিজে দেখেছি সবাই রিসার্চের থিসিস চায়, নিজেদের ক্রেডিট লাগাতে চায়, কিন্তু যখন ফানডিং এর কথা আসে কেউ থাকে না।
টাকা জ্বালানির মতো জ্বালাতে হয়েছে রিসার্চ এবং তথ্য যাচাই করার জন্য। তখন কেউ পাশে থাকেনি।
বিভিন্ন ব্যাবসা, ফ্রীল্যানসিং কাজ, এবং কিছু ক্রাউডফান্ডিং ডোনেশন থেকেই সব কিছু করতে হয়েছে।
ক্রাউডফান্ডিং ডোনেশন যে বা যারা আজও পর্যন্ত ডোনেট করে বা ডোনেট করেছে প্রথম থেকেই বিশেষ ভাবে আমাকে (পার্থপ্রতিম দাশ), তারা (ডোনার) একবার ও ক্রেডিট নিতে বা জানতে আসে না আমি কোথায় কিভাবে ওই ডোনেশন ব্যাবহার করি, তারা (ডোনার) শুধু হয়তো একটি উদ্দেশ্য কে লক্ষ্য রেখেই সঙ্গে ছিলো বা আছে। কিন্তু দিনে দিনে মানুষ খুবই ব্যাস্ত, সবাই তো নেই (ডোনার), অনেকে গেছে আবার অনেকে এসেছে (ডোনার), একসময় এমন ও ছিলো কেউ নেই (ডোনার), দিনের পর দিন মাসের পর মাস রিসার্চ চালাতে হয়েছে বিভিন্ন প্রজেক্টে, এমন ও দিন দেখেছি শুধু ভাত জল ঢেলে খেয়েছি আর কিছুই নেই, এমন ও দিন গেছে ২৪ ঘন্টায় শুধু একবার ই খেতে পেয়েছি, আবার কিছু কিছু দিন পুরো উপবাসেই কেটেছে, কিন্তু কাজ ছাড়িনি, সেখানে রোজকার আসুক বা না আসুক। এমন ও অনেক কাজ হয়েছে বহু ব্যাক্তির কাজ, সংগঠনের কাজ এবং কিছু তো কোম্পানীর কাজ করেও পারিশ্রমিক উদ্ধার আজও করতে পারিনি।
এমন বহু প্রোজেক্টে ফ্রীল্যানসিং কাজ করতে হয়েছে যেখানে সরাসরি কোনো পারিশ্রমিক নেই, ওই কাজের এক্সচেঞ্জে অন্য কোনো তথ্য বা কম ভ্যালুর কোনো সার্ভিস নিতে হয়েছে।
একজন বা একটি সংগঠন বা কোম্পানি যদি ফ্রড কে এক্সপোজ করে বা ইনভেস্টিগেটিভ কাজ করে তার শ্রেয় নেওয়ার জন্য অনেকেই চলে আসে, কিন্তু যে বা যারা এই ধরনের কাজ করছে তাদের পেট, পরিবার, হবি, ইত্যাদি কোথা থেকে চলবে, তাদের রোজকার সৎ পথে কিভাবে হবে তা নিয়ে কারোর কোনো চিন্তা নেই।
আমার (পার্থপ্রতিম দাশ) ব্যাক্তিগতভাবে (কোনো ক্লাইন্টের জন্য নয়) বিভিন্ন প্রজেক্টের রিসার্চ থিসিস সম্পূর্ণ হওয়ার পর নেওয়ার জন্য অনেকেই সামনে এসেছিলো সম্পূর্ণ রিসার্চ তথ্য দিয়ে দাও বেশ ভালো অঙ্কের টাকা দেবে যা খরচ হয়েছে এবং পারিশ্রমিক এবং তার থেকেও বেশি, কিন্তু এক কথায় তখন না বলে দেই কারন আমার যে সমস্ত বিষয়ে রিসার্চ ছিলো তা বিক্রি করার কোনো চিন্তা ধারনা বা উদ্দেশ্য ছিলো না।
আমি (পার্থপ্রতিম দাশ) ব্যাবসা যত বার যত ধরনের করেছি যেখানেই দেখেছি কোনো কোম্পানির কাজের মধ্যে ঝোল ঝাল আছে, কোনো না কোনো ভাবে ক্ষতিকর আছে সকলের জন্য, জানার পর যাচাই করে এক একটা ব্যাবসা ছেড়েছি, এবং ব্যাবসাতে মুনাফার থেকে বেশি দায়িত্ত ফোকাস করেছি যার জন্য আজ ও হয়তো এতটাও এগোতে পারিনি ফাইন্যান্সিয়াল দিক থেকে, কারন বেশিরভাগ কাজ জানলেও না বলে দেই আজও - উদ্দেশ্য, আউটকাম ভালোভাবে যাচাই করে তারপর কাজ নেই বা করি যদি আমার সম্মতি থাকে তখন।
জীবনে বাঁচতে গেলে, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, অন্যদের জন্য, হবির জন্য, পরিবেশ, পশুপাখি, ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পূর্ণ করার জন্য টাকার প্রয়োজন, কিন্তু সততার সঙ্গে ট্রান্সপেরেন্ট ভাবে। বিভিন্ন ব্যাবসা, সার্ভিস সেক্টরে কাজ করে দেখেছি কিভাবে ছোট থেকে বড়ো সবাই স্ক্যাল্যাবল করার জন্য এথিক্স ভুলে যায়। আমার বিচারধারায় স্ক্যাল্যাবল যদি হতে হয় সততার সঙ্গে, কোনো রকম ভাবে আনএথিক্যাল প্রক্রিয়ায় বা কোনো রকম ভাবে সর্টকার্টে নয়।
আমার (পার্থপ্রতিম দাশ) বিচার ধারায় - মনোপলি, কম্পিটিশন, ব্ল্যাকহ্যাট টেকনিক, ফেক পাবলিসিটি, বিষকে অমৃত বলে বিক্রি করা, সর্টকার্টে রোজকার, ফ্রড, চিটিং, ম্যানিপুলেশন, ইত্যাদির কোনো স্থান নেই।
আমি (পার্থপ্রতিম দাশ) মনে করি - আমার থেকেও ভালো আরো অনেকেই করতে পারে বা পারবে বা করছে, তাই আমি মহান নয়, আমি আমার পক্ষে যতোটা সম্ভব করার করতে পারি।
টাকার জন্য যেন নিজেদের বিবেক এবং মনুষ্যত্বের শিরদাঁড়া যেন বিক্রি না হয়ে যায়।
বেশি উড়তে গিয়ে টাকার পাহাড়ের লোভে মানুষ মনুষ্যত্ব ভুলে যায়, যাচ্ছে, যাবে ও। এই ধরনের সিদ্ধান্তের ইম্প্রোভমেন্ট প্রয়োজন বর্তমান এবং আগামী পিড়ির জন্য।
"টাকার জন্য কাজ" আর "কাজের জন্য টাকা" এই কথাটার বিশাল মাহাত্য আছে, যদি কেউ বুঝতে চায় বা বোঝার চেষ্টা করে!
নিজে ঠকেছি বহুবার কিন্তু সেই ঠকার পথ অন্যদের জন্য সাবধান করে দেই।
আমার দক্ষতা, ইন্টারেস্ট অনুযায়ী কাজ করেছি বিভিন্ন কারনের জন্য, যা শুধুমাত্র আমার জন্য নয়, বর্তমান এবং আগামী পিড়ীর পরিবর্তনের জন্যও গুরুত্ত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে কিন্তু উদ্দেশ্যতে কোনো রকম সর্টকার্ট বা ফ্রড, চিটিং, ঠকানো, ইত্যাদি করে পরিবর্তন নয়, যতটাই হোক যেন সততার সঙ্গে কাজ হয় এবং কাজের আউটকাম।
এখনো বিভিন্ন প্রজেক্টে রিসার্চ চলছে ব্যাক্তিগত ভাবে, আজও যখন এই ধরনের কোনো ফ্যাক্ট বেশ রিসার্চ সামনে আসে এবং সেই রিসার্চ সংস্থার রোজকার প্রক্রিয়া ট্রান্সপেরেন্ট এবং ইথিক্যাল থাকে তখন মনে হয় আমি হয়তো পারিনি, কিন্তু কেউ না কেউ তো করে দেখিয়েছে ফ্রড কে এক্সপোজ করেও কিভাবে লিগ্যাল ফরমেটে রোজকার করা সম্ভব ট্রান্সপেরেন্ট ভাবে রোজকারের রাস্তা উল্লেখ করে।
নোট - আমি পার্থপ্রতিম দাশ ব্যাক্তিগত ভাবে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে দেওয়া বিভিন্ন তথ্য এবং কিছু টেকনিকের সঙ্গে সহমত নয় বা সমর্থন করিনা।
বিশেষভাবে -
- কোনো ব্যাক্তির সেনসেটিভ ডকুমেন্ট যেমন আধার, ভোটার, প্যান কার্ড সার্বজনীন করা বা পাবলিক করা আমি পার্থপ্রতিম দাশ কোনোদিনই সমর্থন করিনি।
- কোনো ব্যাক্তির বয়স দেখে জাজ করা আমি পার্থপ্রতিম দাশ সমর্থন করিনা, কাজ এবং কাজের রেজাল্ট, তথ্য, ফ্যাক্টস, পদ্ধতি ইত্যাদির ভিত্তিতে দেখার প্রয়োজন।
- কোনো কোম্পানি বা সংস্থার রুমের ভাড়া, কর্মচারীর সংখ্যা দেখে জাজ করা আমি পার্থপ্রতিম দাশ সমর্থন করি না, কাজ এবং কাজের রেজাল্ট, তথ্য, ফ্যাক্টস, পদ্ধতি ইত্যাদির ভিত্তিতে দেখার প্রয়োজন।
- বয়স দেখেই যে কোনো কাজের অনুভব আসে বা থাকবে এই বিচার ধারণায় আমি পার্থপ্রতিম দাশ বিশ্বাস করিনা।
বিঃ দ্রঃ - এই আর্টিকেলে লেখা সম্পূর্ণ তথ্য আমার 'পার্থপ্রতিম দাশ' ব্যাক্তিগত মন্তব্য বা চিন্তা ধারনা, কোনো কোম্পানি বা ব্যাক্তি কে উৎসাহিত বা প্রোমোট করার জন্য নয়। কোনো রকম এডভাইস দেওয়ার জন্য নয়।